পরিচিতি
গোলমরিচ প্রাচীনকাল থেকেই খাদ্যে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লতাজাতীয় এ উদ্ভিদটির ফল শুকিয়ে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ফলের রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ। এতে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও ক্যালসিয়াম। গোলমরিচ শুধু তরকারির স্বাদই বাড়ায় না, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিষেধকের ভূমিকাও রাখে।
- গোলমরিচ কফ ও বায়ুনাশক, রুচিবর্ধক এবং কৃমিনাশক।
- ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা নিরাময় করে।
- প্রচুর আন্টিঅক্সিডেন্ট আছে গোলমরিচে, যা উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
- শরীর থেকে ফ্রি রেডিক্যালস বের করে দিতে সাহায্য করে।
- ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে তা প্রতিরোধ করে।
- গোলমরিচের ঝাল কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
- গোলমরিচে বিদ্যমান ‘ক্যাপ্সাইসিন’ শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
- গোলমরিচের তেল ত্বক ভালো রাখে ।
- গোলমরিচের বাইরের আবরণ দেহের চর্বিজাতীয় কোষ ভাঙতে সাহায্য করে।তাই ওজন কমানোর চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়।
প্রতিদিনের রান্নাকে দুর্দান্ত করার ক্ষেত্রে গোলমরিচের গুড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য
সংক্ষিপ্ত নির্দেশিকা
- গাছের অবস্থান নির্ণয়ঃ কোন কোন গাছ বেশি রোদ পছন্দ করে (কাগজি লেবু, ড্রাগন ফল) কোন গাছ আধা ছায়ায় ভালো হয় (এলাচি লেবু, জামরুল), আবার কোনো গাছ ছায়া পছন্দ করে (লটকন, রামবুটান)। এজন্য কাঙ্ক্ষিত গাছ থেকে বেশি সুফল পেতে রোদের/আলো-বাতাস প্রাপ্তি অবস্থা বুঝে গাছের অবস্থান চূড়ান্ত করা প্রয়োজন।
- উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ যে কোন চারা রোপণের পূর্বেই সঠিক জায়গা ও মাটি নির্বাচন করা উচিত। যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে, বন্যামুক্ত উঁচু জায়গা নির্বাচন করে জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। সঠিক মাটি নির্বাচনের জন্য উপরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য থেকে এ বিষয়ে ধারনা নেয়া যেতে পারে।
- পানিঃ অতিরিক্ত পানি দেয়া এবং অতি কম দেয়া উভয়ই গাছের জন্য ক্ষতিকর। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বেশি পানি দেয়ার ফলে বিভিন্ন রোগে গাছ আক্রান্ত হয়, এমনকি মারা যায়। এ জন্য গাছের গোড়া শুকালেই কেবল পানি দেয়া যাবে, গোড়া ভেজা থাকলে কোনো মতেই তাতে পানি দেয়া যাবে না। কিছু গাছ বেশি পানি গ্রহণ করে আবার অনেক গাছে পানি কম লাগে। বৃষ্টি বা নালায় জমে থাকা পানি গাছ বেশি পছন্দ করে। তবে সকাল বেলা গাছে পানি সেচ দেয়া উত্তম।
- পোকা-মাকড় দমনঃপ্রাথমিক অবস্থায় শুরুতে সীমিত সংখ্যক পোকা বা তার ডিমের গুচ্ছ দেখা যায়। নিয়মিত রোপণ করা গাছগুলো পরীক্ষা করে দেখা মাত্র পোকা বা পোকার ডিমগুলো সংগ্রহ করে মেরে ফেলা ভালো। পাতার নিচে ভাগে পোকামাকড় অবস্থান করে। অনেক ক্ষেত্রে বয়স্ক পাতায় পোকামাকড় বেশি দিন আশ্রয় নেয়। এ জন্য পাতা হলুদ হওয়া মাত্র পাতার বোটা রেখে তা ছেঁটে দিতে হয়। পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেশি হলে অভিজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জৈব পদ্ধতি অবলম্বনে গাছকে পোকার হাত থেকে নিরাপদ রাখা যেতে পারে। কীটনাশক ব্যবহার কালে খেয়াল রাখতে হবে যেন তার টকসিসিটি কম সময় থাকে।
- আগাছাব্যবস্থাপনা ও অঙ্গ ছাঁটাইকরণঃকাংখিত গাছকে সুষ্টুমত বাড়তে দেয়ার জন্য ক্ষত ও রোগাক্রান্ত ডাল কেটে বাদ দেবা প্রয়োজন। ধারালো সিকেচার বা বিশেষ এক প্রকার ছুরি দিয়ে অঙ্গ ছাঁটাই করতে হয়। ডাল কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন থেঁৎলে না যায়। এতে গাছে ছত্রাক রোগের আক্রমণ হতে পারে। গাছের নিচে ক্ষতিকর আগাছার কারনে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- সার প্রয়োগঃ গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও কাঙ্খিত ফলাফল এর জন্য গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ধরার সময় সঠিক মাত্রায় জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ গাছের ক্ষেত্রেই ১৫ দিন বা এক মাস অন্তর অন্তর সার প্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
কেন চারুলতা?
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
এই পণ্যটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত, পরামর্শ, অভিযোগ বা যে কোন প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।
০১৭৯৯-৮৮০৮৮৬
০১৭৯৮-৩৫৪৩৪৪
support@charulata.com.bd
Reviews
There are no reviews yet.